ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায় তৎপর সিবিআই। বিজেপি শুরু থেকেই যেই হিংসার অভিযোগ সামনে এনেছিল তারপর থেকে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তদন্ত অভিযান চালিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। বিধানসভা নির্বাচনের সবথেকে হাইভোল্টেজ কেন্দ্রীয় নন্দীগ্রামেও গিয়েছিল তাদের প্রতিনিধি দল। এবার সেখানের ভোট-পরবর্তী অশান্তি মামলায় চার্জশিট দিল সিবিআই। চার্জশিটে অভিযুক্ত ৩ জন। একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি অশান্তি ছড়ায় নন্দীগ্রামেও। বহু বিজেপি কর্মীর বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। শাসকদলের নেতা-কর্মীদের মদতেই বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়েছে তৃণমূল।
বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরে বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে নন্দীগ্রামের এক বিজেপি কর্মীর দেবব্রত মাইতিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই। সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে সিবিআই এবং এবার চার্জশিট পেশ করা হল। জানা গিয়েছিল, ওই ব্যক্তিকে প্রচণ্ড মারধর করার কারণে তিনি গুরুতর আহত হয়েছিলেন এবং প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে তার মৃত্যু হয়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের মারধরের ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এবং শুধু তাই নয় অনেক বিজেপি কর্মী এবং সদস্যদের ঘরছাড়া করা হয়েছে ভয় দেখিয়ে। সেই প্রেক্ষিতেই গোটা বিষয়টি তদন্তে নেমেছে সিবিআই।
কলকাতা হাইকোর্ট আগেই জানিয়েছিল যে, এই মামলায় অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ যে অভিযোগগুলি রয়েছে, সেগুলো খতিয়ে দেখবে স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেশন টিম।সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে কাজ করবে সিট৷ অন্যদিকে খুন, অস্বাভাবিক মৃত্যু, ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই৷ পাশাপাশি বলা হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার৷ ভোট পরবর্তী হিংসায় কলকাতা হাই কোর্টে ৬টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল৷