নির্বাচনের পর থেকেই রাজগঞ্জ ব্লকের জুম্মাগছে সিপিএম ও কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালাতে শুরু করে পুলিশ এবং তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। শনিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত দফায় দফায় চালানো হয় হামলা। খুঁজে খুঁজে জোট প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালায় পুলিশ বলে অভিযোগ। লুট করে নেওয়া হয় টাকা পয়সা সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। পুনর্নির্বাচনে ভোট দিতে গেলে গ্রেফতার করে নেওয়ার হুমকিও দেয় পুলিশ বলে অভিযোগ উঠেছে।ঘটনার পর থেকেই ঘর ছাড়া বহু কর্মী সমর্থক। থমথমে পরিবেশ রয়েছে জুম্মাগছ সহ চতুরাগছ,খোয়ারকাটা গ্রামে।নথি নিয়ে নেওয়ার ফলে এদিন ভোট দিতে পারেননি অনেকে। সোমবার পুননির্বাচনের দিন জুম্মাগছের ওই বুথ পরিদর্শনে যান জলপাইগুড়ি জেলার বিশেষ পর্যবেক্ষক সুজাতা বসু। আর তাকে সামনে পেয়েই তৃণমূল এবং পুলিশি অত্যাচারের কথা তুলে ধরে নিগৃহীত পরিবারের সদস্যরা। বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন সুজাতা বসু। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বরা।