করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের পরিত্রাণের জন্য যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের কুর্ণিশ জানাতে এবারের জাতীয় ডক্টর্স ডে-র তাৎপর্য আরও বেশি। মানব সভ্যতার প্রতি তাঁদের অপরিসীম অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানাতে এই দিনটি পালিত হয়। ১৯৯১ থেকে প্রতি বছর দেশজুড়ে জাতীয় ডক্টর্স ডে উদযাপিত হয়ে থাকে। কোভিড অতিমারী আরও একবার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের অবদান ও আত্মত্যাগের বিষয়টি সবাইকে মনে করিয়ে দিয়েছে।
কিংবদন্তী চিকিৎসক তথা পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ডঃ বিধানচন্দ্র রায়কে শ্রদ্ধা জানাতে প্রথমবার উদযাপন করা হয় ডক্টর্স ডে। চিকিৎসাক্ষেত্রে তাঁর অবদানকে স্বীকৃতি দিতে এই দিনটি প্রথমবার পালন করা হয়। মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন চিকিৎসক বিধানচন্দ্র রায়। ১৯৯১-তে কেন্দ্র সরকার ডক্টর্স ডে-র সূচনা করে।
করোনা অতিমারীর এই সংকটের সময়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন। আর এই কাজে তাঁরা নিজেদের ও পরিবারের প্রাণের ঝুঁকি নিতেও পিছপা হচ্ছেন না। করোনা আক্রান্তদের জীবন বাঁচাতে তাঁরা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নিজেদের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে তাঁরা দেশের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন এবং অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশকে বাঁচাতে অগ্রগন্য সৈনিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। দেশের অগ্রগতিতে চিকিৎসকদের ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে এই দিনটির উদযাপন।