একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ মেডিক্যাল কলেজ

একই দিনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে চারটি গুরুতর অভিযোগ। ‘রেফার রোগে’ হয়রানি করোনা রোগীর। অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে রইলেন করোনা আক্রান্ত যুবক। হৃদরোগ নিয়ে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে  ভর্তি হয়েছিলেন নলপুরের এক যুবক। অবস্থার অবনতি হওয়ায় অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিয়মমাফিক করোনা পরীক্ষা করে হাসপাতাল। সোমবার  সকালে ওই যুবকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অ্যাম্বুল্যান্সে করে পাঠানো হয় মেডিক্যালে। কিন্তু মেডিক্যালে কোনওভাবেই ভর্তি নিচ্ছিল না বলেই অভিযোগ। ‘স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ না থাকায় ভর্তি করা হবে না’, পরিবারকে সাফ জানায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। বিকেল পর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সেই পড়ে ছিলেন সেই করোনা আক্রান্ত যুবক।

এ দিকে, ফের ‘রেফার রোগ’-এ হয়রানির শিকার এক প্রসূতি। ১১ জুলাই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আকড়া ফটকের বাসিন্দা মনীষা দাস। তারপরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘক্ষন তাঁকে বাইরে ফেলে রাখেন। তারপর ফের মনীষাকে কলকাতা মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। সেখানেও জরুরি বিভাগের বাইরে অক্সিজেন সিলিন্ডার সমেত ট্রলির মধ্যে পড়ে ছিলেন তিনি। পরে সংবাদমাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হলে রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়।

তৃতীয় ঘটনাটিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ভর্তি নিয়ে বিস্তর টালবাহানার অভিযোগ তোলেন রোগীর আত্মীয়েরা। মেডিক্যালের এমার্জেন্সির বাইরে মৃত্যু হয় মহিলার। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ ১০দিন ধরে শ্বাসকষ্ট, পেটে ব্যথা ছিল বহরমপুরের বাসিন্দা লক্ষ্মী সাউয়ের। ১০ দিন ধরে চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু হাসপাতাল কোনভাবেই তাঁকে ভর্তি নেয়নি বলে অভিযোগ।

আবার এ দিনই রেফার রোগে আরও এক রোগীর মৃত্যু হয় মেডিক্যাল কলেজে। দক্ষিণ বারাসতের টিউলিপ নার্সিংহোম থেকে এসএসকেএম এসেও চিকিৎসা না পেয়ে, চিকিৎসার আশায় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে অবশেষে স্ট্রেচারেই মৃত্যু হয় ২৬ বছরের যুবকের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *