এই মুহূর্তে গরুপাচার কাণ্ডে আষ্টে পৃষ্টে জড়িয়ে পড়েছেন কেষ্ট, রয়েছেন জেল হেফাজতে৷ একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে৷ তাঁর ওজন নিয়ে বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা৷ ওজন কমানোর পরামর্শও দিয়েছেন৷ জবাবে বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতির অকপট স্বীকারোক্তি ছিল, রোজ ট্রেডমিলে হাঁটি, খাওয়া-দাওয়াও কন্ট্রোল করি, তাও কমছে কই? অবশেষে তাঁর ওজন কমল৷ জেলে গিয়ে৷ ৬০ দিনে ৯ কেজি ওজন কমল অনুব্রত মণ্ডলের৷ ১১০ কেজি থেকে ওজন কমে হল ১০১ কেজি৷
গত ১০ অগাস্ট গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত মণ্ডল৷ ১৪ দিন হেফাজতে থাকার পর ২৫ অগাস্ট যখন তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শারীরিক পরীক্ষার জন্যে৷ সেই সময় তাঁর ওজন ছিল ১১০ কেজি৷ দু’ মাস পর ২৫ অক্টোবর আরও একবার হাসপাতালে ওয়েট মেশিনে ওঠেন কেষ্ট৷ দেখা যায় তাঁর ওজন হয়েছে ১০১ কেজি৷ অর্থাৎ ৬০ দিনে ৯ কেজি ওজন কমেছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির৷
ফিসচুলা, শ্বাস্কষ্ট-সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন অনুব্রত। নিয়মিত অনেক ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। অনুব্রতর অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও কম হয়নি। সিবিআই তলব এড়াতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসকদের ডেকে চাপ দিয়ে বেড রেস্ট লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে৷ এদিন হাসপাতালে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেন চারজন চিকিৎসক৷ তবে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন নেই বলেই জানান তাঁরা৷