এই মুহূর্তে সব চেয়ে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আফগানিস্তানের। একের পর অশনি সংকেত আঘাত হানছে আফগানিস্তানে। একে তালিবান দখল, তারপর বিমান বন্দর হামলা। এরই মাঝে নতুন বিপদ হানলো আফগানিস্তানে। এবার কাবুল বিমানবন্দরে রকেট হামলা। সোমবার সকালে হামিদ কারজাই বিমানবন্দর লক্ষ্য করে উড়ে আসে পর পর পাঁচটি রকেট। যদিও এই রকেট ক্ষতি করতে পারেনি৷ বিমানবন্দরের বিশেষ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম রকেটগুলিকে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বড়সড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবরও মেলেনি। এদিনের হামলার পিছনেও আইএস-এর হাত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে আমেরিকা৷ আক্রমণের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গোটানোর সময় যত এগিয়ে আসছে তত অশান্ত হয়ে উঠছে বর্তমানে তালিবানি শাসনে থাকা দেশ। আইসিস-কে জঙ্গিরা শেষ কামড় দিতে চাইছে বলে মনে করছে বাইডেন প্রশাসন।
রকেট হামলার জেরে গোটা শহর ধোঁয়ায় ভরে যায়৷ অনেক জায়গায় আগুনও লেগে যায়৷ রকেট হামলার জেরে বহু যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ প্রসঙ্গত, এই রকেট হানার ২৪ ঘণ্টা আগেই কাবুল বিমানবন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ধ্বংস করেছিল মার্কিন সেনা৷ বিমানবন্দরের হামলার জন্যই গাড়িটি সেখানে আনা হয়েছিল বলে আশঙ্কা করেছে আমেরিকার সেনা। আজকের ঘটনা তারই প্রত্যঘাত বলে মনে করা হচ্ছে৷
দিনকয়েক আগেই কাবুল বিমানবন্দর চত্বরে নাশকতার আশঙ্কা করতে শোনা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে। তাঁর সেই আশঙ্কা সত্যি করে পরের দিনেই কাবুলে পরপর বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। আইএস-এর খোরাসান শাখা এই বিস্ফোরণের মূল চক্রী। কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে পরপর বিস্ফোরণে ১৭০ আফগান নাগরিকের পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছিল ১৩ মার্কিন সেনার। সেই হামলার যোগ্য জবাব দেওয়ার চরম বার্তা দিয়েছিলেন বাইডেন। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আফগানিস্তানে ইসলামিক স্টেটের ডেরায় ড্রোন হামলা চালায় আমেরিকা।