বাবা মারা গেছে দুবছর আগে, মা জেহেরুন, প্রায় চল্লিশ দিন আগে। তিনটি শিশু আজ অনাথ হয়ে পড়েছে। বাবা মা হারানো অনাথ তিন শিশুকে এখন দেখাশোনা করছেন প্রতিবেশীরা। ইসলামপুর ব্লকের মাটিকুন্ডা এক গ্রাম পঞ্চায়েতের পোখরপাড়াতে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবাইকে জানিয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। তাই গ্রামবাসীরা বাচ্চাদের দিকে তাকিয়ে তাদের নিজের কান্না আর ধরে রাখতে পারছে না। কি করবেন তারা এই বাচ্চা গুলোকে নিয়ে? কোথায় যাবে? কি খাবে ওরা? এই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন গ্রামবাসীরা। এক গ্রামবাসী জানান, দীর্ঘদিন আগে একটি অসুখে বাবা মারা গেছে। বড় ছেলেটি একটি মাদ্রাসাতে যায় পড়তে। কিন্তু ওই শিশু শারীরিকভাবে সক্ষম নয়। ওর বয়স পাঁচ থেকে ছয় হবে। তারপর রয়েছে দুটি কন্যাসন্তান। একটি কন্যা সন্তানের বয়স চার থেকে পাঁচ হবে আর একটি কন্যা সন্তানের বয়স দুই থেকে তিন। তবে সে যেহেতু ছোট, রাতের বেলায় মামার বাড়িতে গিয়ে থাকে। কিন্তু সেই মামারও অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।এমতাবস্থায় তাদের দাবি, কোথাও যাতে এই বাচ্চাগুলোকে রাখার ব্যবস্থা করা যায়। এই বাচ্চা গুলো মানুষের মত মানুষ হয়ে উঠুক।আর দশটা মানুষের মতন ওদেরও বাঁচার অধিকার আছে। ওরাও যেন বাঁচতে পারে এই পৃথিবীর বুকে, তারা এখন এটাই চাইছে। ওই শিশুদের মামা স্থানীয় প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাতে কোনো অনাথ আশ্রমে ওদের দিয়ে দেওয়া যায় কিনা সে বিষয়ে, কিন্তু সেই বিষয়েও কোনো সুরাহা হয় নি বলে তার দাবি। তবে সমাজের এই নিদারুণ করুন দৃশ্য দেখে হয়তো একটি কথাই মনে পড়ে। কোনো একদিন হয়তো কোনও হৃদয় ব্যক্তি এসে তরতাজা তিনটি শিশুর প্রাণকে বাঁচিয়ে নেবে। এই শিশুগুলি যেন হয়ে উঠুক মানুষের মতন মানুষ। প্রশাসন সহ একাধিক আমলারা তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক এমনটাই চাইছেন গ্রামবাসীরা। যদিও মাটিকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মেহেবুব আলম জানান, ঈদের তিন চারদিন আগে তিনি ওই শিশুদের মামার মাধ্যমে খবর পেয়েছিলেন এবং তারপর থেকেই তিনি শিশুদের মামাকে দেখভালের কথা বলেছেন এবং পঞ্চায়েত থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি এলাকার সমাজসেবীদের কাছেও তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে সবাই শিশুদের পাশে এসে দাঁড়ান।