হত্যাকান্ড মামলায় মিলোল মুক্তি

নিজ সন্তানকে খুন করার শাস্তি মিলেছে, সমাপ্তি হলো দীর্ঘ সময়ের জেল জীবনের। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর ধরে জেল খাটার পর অবশেষে জামিন পেলেন শিনা বরা হত্যাকান্ডের অন্যতম অভিযুক্ত ইন্দ্রানী মুখার্জি। মঙ্গবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগেও একাধিকবার সর্বোচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ইন্দ্রানী। কিন্তু প্রতিবারই তা খারিজ করে দেওয়া হয়। শেষমেষ তাঁকে জামিন দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও, বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এ এস বোপান্নার ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলা প্রসঙ্গে বর্তমানে সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ইন্দ্রানী মুখার্জি দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর জেলে রয়েছেন। তাই আপাতত তিনি জামিন পাওয়ার অধিকারী। তবে এই মামলার নিষ্পত্তি কবে হবে সে ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছে না আদালত।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে নিজের মেয়ে শিনা বরাকে পরিকল্পনা করে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেফতার করা হয় মা ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর বিরুদ্ধে নিজের মেয়েকেই অপহরণ, পরে হত্যা এবং প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তবে পুলিশ সূত্রের খবর এই কাজ ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায় একা করেননি। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেন ইন্দ্রাণী মুখার্জির স্বামী পিটার মুখার্জি। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পিটার মুখার্জিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। আপাতত জেলেই রয়েছেন তিনি।

আজ থেকে প্রায় সাত বছর আগে ২০১৫ সালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত তোলপাড় হয়েছিল দেশ। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রথমে গ্রেফতার করে ইন্দ্রানী এবং পিটারের গাড়ির ড্রাইভারকে। ম্যারাথন জেরায় সেই প্রথম স্বীকার করে এই খুনের কথা এবং তখনই উঠে আসে পিটার মুখার্জি এবং ইন্দ্রাণী মুখার্জীর নাম। সেই সময় জানা গিয়েছিল গাড়ির ড্রাইভারই পুলিশকে জানিয়েছেন যে মেয়েকে খুন করে তাঁরা দেহ কোথায় ফেলে পুড়িয়ে দিয়েছিল এই দম্পতি। এইসব তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৫ সালে প্রথমে গ্রেফতার হন পিটার মুখার্জি এবং তার কয়েকদিন বাদেই পুলিশ ইন্দ্রাণী মুখার্জিকে গ্রেফতার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *