সিলেবাস কমানো নয়, পিছিয়ে যেতে পারে শিক্ষাবর্ষ। এমনটাই খবর রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে। নাকি সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা বলে সূত্রের খবর।
মার্চ মাসের শেষ দিক থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে স্কুল বন্ধ রয়েছে। গরমের ছুটি বাদ দিলে এখনও পর্যন্ত চার মাস সময় নষ্ট হয়েছে। করোনা সংক্রমণ কাটিয়ে কবে থেকে স্বাভাবিক হবে স্কুল সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নয় রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল খোলার সম্ভাবনা কার্যত ক্ষীণ । অন্তত এমনটাই দাবি রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের। তাই সিলেবাস কমানোর বিকল্প ভাবনা হিসেবে শিক্ষাবর্ষ পিছিয়ে দিলে আদপে লাভবান হবে রাজ্যের ছাত্র-ছাত্রীরাই। তার জেরে শিক্ষাবর্ষ পিছনোও যায় না কি সেই বিষয়ে এবার আলাপ-আলোচনা শুরু করেছে দফতরের আধিকারিকরা বলেই খবর।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জেরে মার্চ মাসের শেষ দিক থেকেই রাজ্যজুড়ে স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কবে থেকে স্কুল খুলবে সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয়। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য জানিয়েছিলেন সব ঠিকঠাক থাকলে ৫ সেপ্টেম্বর এর পরে স্কুল খোলার বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করা যাবে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ যে হারে ঊর্ধ্বমুখী সে ক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরে স্কুল খোলার সম্ভাবনা কার্যত অনেকটাই ক্ষীণ । তবে শিক্ষা মন্ত্রীর নির্দেশে অবশ্য সিলেবাস কমানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছিল রাজ্য সিলেবাস কমিটি। গত মাসেই সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার জানিয়েছিলেন দশম, দ্বাদশ শ্রেণীতে বোর্ড পরীক্ষার দিকে মাথায় রেখে সিলেবাস কমানো যায় নাকি সেই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চালানো হবে।