সিকিমে বেড়াতে গিয়ে রায়গঞ্জের তিন যুবক নিখোঁজ। তাঁরা হলেন স্বর্ণদীপ মজুমদার, শ্রীকান্ত মজুমদার এবং ঈশান। প্রথম দু’জনের বাড়ি রায়গঞ্জ শহরে। সম্পর্কে তাঁরা খুড়তুতো ভাই। ঈশানের বাড়ি রাঁচিতে। তিনি তাঁদের সঙ্গেই রায়গঞ্জ থেকে সিকিম ঘুরতে যান। ছেলেদের খোঁজে পুলিস প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে দুই পরিবার।
এদিন রায়গঞ্জ শহরের উকিলপাড়ায় স্বর্ণদীপের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাঁর মা মিঠু মজুমদার ছেলের চিন্তায় রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাঁর খাওয়া দাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এদিন মিঠুদেবীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কথা বলতে গিয়ে বারবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি বলেন, শনিবার সকালে দু’টি মোটর বাইক নিয়ে আমার ছেলে স্বর্ণদ্বীপ, আমার দেওরের ছেলে শ্রীকান্ত এবং শ্রীকান্তর এক বন্ধু ঈশান সিকিমের উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেয়। মঙ্গলবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে ছেলের সঙ্গে আমার শেষবার কথা হয়। তখন ছেলে জানায় বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা নাগাদ ওরা গুরুদংমার উদ্দেশে রওনা দেবে । খুব ভোরে আমি ওর ফোনে ফোন করি, কিন্তু যোগাযোগ করতে পারিনি। এরপর সারাদিন ধরেই আমরা বহু চেষ্টা করেও স্বর্ণদ্বীপ ও শ্রীকান্তর সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করতে পারিনি।
দুই পরিবারের লোকেরাই জানান, বুধবার সকাল ১০টা নাগাদ তারা সংবাদমাধ্যমে সিকিমের বিপর্যয়ের খবর প্রথম জানতে পারেন।
অনেক বেলা পর্যন্ত ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে অবশেষে তারা পুলিস ও প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো এদিন দুপুরে স্বর্ণদ্বীপের মা মিঠুদেবী রায়গঞ্জ থানায় যান। রায়গঞ্জ থানার আইসি সৌরভ সেনকে তাঁরা পুরো বিষয়টি জানান। পুলিস প্রশাসনের তরফে যত দ্রুত সম্ভব তাঁদের খোঁজ খবর নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। রায়গঞ্জ জেলা পুলিসের ডিএসপি (সদর) রিপন বল বলেন, রায়গঞ্জের দুই যুবক সহ তিন জন সিকিমে ঘুরতে যায়। বুধবার সকাল থেকে তাঁদের সঙ্গে পরিবারের লোকেরা কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি। আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি। পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি।