শিলিগুড়িতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ, হসপিটালাইজেশন ও মৃত্যু উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যেতে পারে খালপাড়া রেড-লাইট এলাকা খুলে দিলে। বিশেষজ্ঞদের একটি গোষ্ঠী এই মতপ্রকাশ করেছে। এলাকাটি বন্ধ রাখার মেয়াদ বাড়ালে কোভিড-১৯ কেস ও মৃত্যু ৯০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া সম্ভব হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মডেলে উঠে এসেছে, খালপাড়া রেড-লাইট এলাকা বন্ধ রাখা হলে বাড়তি ৫৪ দিনের বিলম্ব ঘটতে পারে ‘পিক’ থেকে। এই মডেলটির রচয়িতা হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল ও ইয়েল স্কুল অফ মেডিসিনের একদল বিশেষজ্ঞ। মডেলটি থেকে জানা যাচ্ছে, যদি খালপাড়া রেড-লাইট এলাকা চালু হয়ে যায় তাহলে রোগটি দ্রুত রেড-লাইট এলাকায় ছড়িয়ে পড়বে এবং যৌনকর্মী ও কাস্টমারদের অনেকেই সংক্রমণের শিকার হবেন। এরফলে শিলিগুড়িতে হসপিটালাইজেশনের হার ৫০ গুণ মৃত্যুহার ৪৪ গুণ বাড়ার আশঙ্কা থাকবে লকডাউন ওঠার পরবর্তী ৯০ দিনে। এই গবেষণায় সুপারিশ করে বলা হয়েছে, যৌনকর্মীদের কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজের জন্য দক্ষতা অর্জনের সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ-মাধ্যম থেকে জানা গিয়েছে, কিছু যৌনকর্মী অন্যধরণের কাজের সুযোগ খুঁজছেন। শিলিগুড়িতে রেড-লাইট এলাকা বন্ধ রাখা হলে ও যৌনকর্মীদের জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ব্যবস্থা করা গেলে অনেক প্রাণ বাঁচানো যাবে।
চিকিৎসক তথা দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির মুখ্য উপদেষ্টা ড. স্মরণজিৎ জানা বলেন, লকডাউন তোলার পরপরই যৌনকর্মীদের কাজে নামার অনুমোদন দিলে তা গভীর বিপদ ডেকে আনবে। গবেষণার সহ-রচয়িতা ও ইয়েল ইউনিভার্সিটির ড. অভিষেক পান্ডে জানান, যৌনকর্মী, দালাল ও ব্রথেল ম্যানেজার-সহ রেড-লাইট এলাকায় বসবাসকারী সকলেরই সংক্রমণের ঝুঁকি প্রবল। হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ড. সুধাকর নুটি বলেন, খালপাড়া রেড-লাইট এলাকাকে বন্ধ রাখা খুবই প্রয়োজন, যতদিন না কোনও ভ্যাকসিন বের হচ্ছে এবং যৌনকর্মীদের ও পশ্চিমবঙ্গের মানুষদের রক্ষা করার জন্য তা ব্যাপকভাবে বিতরিত হচ্ছে।