বিলগ্নিকরণে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এমন রাষ্ট্রায়ত্ত তেল ও গ্যাস উৎপাদন ও বিপণন সংস্থায় ১০০% প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগে এখন আর সরকারের অনুমতি নিতে হবে না। এই মর্মে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অনুমোদন চেয়ে একটি খসড়া প্রস্তাব পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রক। মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এই প্রস্তাবে অনুমোদন দিলে ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেডের (বিপিসিএল) বেসরকারিকরণে গতি আসবে। এয়ার ইন্ডিয়া, বিপিসিএল সহ একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে চলতি অর্থবছরে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা জোগাড় করার লক্ষ্য বাজেটে ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।
গত মাসেই বিপিসিএলের ফিনান্স ডিরেক্টর এন বিজয়গোপাল জানিয়েছিলেন, আগামী অগস্ট মাসের মধ্যেই ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের থেকে আর্থিক দরপত্র নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং পরের মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিপিসিএল বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেটা হলে, আগামী বছর মার্চের মধ্যে বেসরকারি হাতে বিপিসিএল হস্তান্তর করার প্রক্রিয়াও শেষ করা যাবে। বিপিসিএল সহ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস ক্ষেত্রের যে সমস্ত সংস্থাকে শর্তসাপেক্ষে বিলগ্নিকরণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেগুলির বিলগ্নিকরণে বিদেশি লগ্নিকারী পেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেই লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় তেল ও গ্যাস মন্ত্রক ওই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করেছে।
বিপিসিএল গত কয়েক বছর ধরে ক্রমাগত মুনাফা করে আসছে। এই সংস্থাটি সম্পূর্ণ বিলগ্নিকরণের অর্থ, সংস্থার মালিকানার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালনভারও বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া হবে। মুম্বই, কোচি, বিনা (মধ্যপ্রদেশ) এবং নুমালিগড়ে (অসম) বিপিসিএলের চারটি পরিশোধনাগার ছিল, যার মধ্যে নুমালিগড় পরিশোধনাগারটি তারা সম্প্রতি বিক্রি করে দিয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সংস্থাটির মোট ১৪,৮০০টি পেট্রল পাম্প রয়েছে।