রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মোতাবেক হোম গার্ডের চাকরি গ্রহণ করবেন ১০এপ্রিল চতুর্থ দফার নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রেপাঠানটুলি ২/২৮৫ নং বুথে রাজনৈতিক সংঘর্ষে নিহত আনন্দ বর্মণের পরিবার। শুক্রবার কোচবিহার শহরে তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে এসে একথা জানিয়ে গেলেন নিহত আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন এবং দাদা গৌতম বর্মন।
গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের পাঠানটুলি ২/২৮৫ নং বুথে গুলিতে নিহত হন বিজেপি সমর্থক বলে পরিচিত আনন্দ বর্মন। সেদিন থেকেই দাবি করে আসছিল বিজেপি আনন্দ বর্মন তাদের দলের কর্মী। ১০ এপ্রিল সকাল বেলায় প্রথম গুলি কান্ডের ঘটনা ঘটে আনন্দ বর্মন কে দিয়ে। তারপর বেলা গড়াতে গড়াতে শুরু হয় সিআইএসএফ এর গুলিতে নিহত আরো ৪জন। তারা ৫/১২৬ নং বুথের ভোটার।
এই ঘটনার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৃত পরিবারের সাথে দেখা করার জন্য ১১ ই এপ্রিল আসতে চেয়ে ছিলেন মাথাভাঙ্গা। কিন্তু কমিশনের কিছু নিয়ম কানুন এর জন্য ওই দিন তিনি আসতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে মাথাভাঙ্গা তে এসে নিহত পরিবারের সাথে দেখা করেন এবং কথা বলেন।সেইসাথে আনন্দ বর্মনের মামা এবং দাদুর সাথে দেখা করেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রের এই নিহত পাঁচজন যুবকের পরিবারের একজন করে হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরেই শুক্রবার সকালে নিহত আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন, এবং দাদা গৌতম বর্মন সকাল-সকাল তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ের বাড়িতে যান। এখানে এসে মমতা ব্যানার্জিকে কৃতজ্ঞতা জানান আসেন তারা এবং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হোম গার্ডের চাকরি আনন্দ বর্মনের পরিবার থেকে নেওয়া হবে বলে পার্থ বাবুকে জানান আনন্দের মা এবং দাদা। এর পাশাপাশি দোষীদের শাস্তির দাবিও তারা তুলে ধরেন পার্থবাবুর কাছে।
এ প্রসঙ্গে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থ প্রতিম রায় বলেন, “সকালে নিহত আনন্দ বর্মনের মা বাসন্তী বর্মন এবং ভাই গৌতম বর্মন তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন শীতলকুচি গুলি কাণ্ডে নিহতদের চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেই মোতাবেক মানবিক মুখ্যমন্ত্রী শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য নয় সকলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী। তাই শুধু চারজনকে নয় পাঁচ জনের পরিবারকে হোম গার্ডের চাকরি দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন। মমতা ব্যানার্জি যেদিন মাথাভাঙ্গা এসেছিলেন সেদিন নিহত আনন্দ বর্মনের দাদু এবং মামার সঙ্গে কথা বলেছেন কিন্তু বিজেপির চক্রান্তের ফলে আনন্দ বর্মনের মা-বাবা এবং দাদা সেদিন আসতে পারেননি মমতা ব্যানার্জির সাথে দেখা করতে। অবশেষে নিহত আনন্দ বর্মনের মা এবং দাদা মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকবেন বলে তারা জানিয়ে গেছেন।”