নতুন অধ্যায়ের শুরুতে চিন্তিত আফগানিস্তানের মহিলারা। তবে কি এবার ফিরে আসতে চলেছে তাদের পুরোনো ভবিষ্যৎ? ফের অন্ধকারে ডুবে যেতে চলছে তাদের জীবন এই আতঙ্কেই প্রহর গুনছে আফগানিস্তানের মহিলারা। কিন্তু কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া গেলো তালিবান মুখপাত্র যাবিউল্লাহ মুজাহিদের ঘোষণায়। মহিলাদের আশ্বস্ত করে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘তালিবান শাসনে মহিলাদের কাজ করার অধিকার দেওয়া হবে। তাঁরা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে পারবেন। তবে সবই হবে ইসলামিক আইন মেনে। ইসলামিক আইন মেনে মহিলাদের অধিকার রক্ষা করা হবে। কিন্তু শরিয়তি আইনের বাইরে গিয়ে কিছুই হবে না।’’ এমনকী, মহিলাদের গোটা শরীর ঢেকে রাখতে বোরখা পরারও প্রয়োজন নেই! তবে পরতেই হবে হিজাব। অর্থাৎ গতবারের শাসনকালের তুলনায় এবার যে তারা অনেক বেশি ‘উদার’, সে ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।
মহিলাদের অধিকারের প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখপাত্র বলেছেন, ‘‘আজ থেকে ২০ বছর আগে পৃথিবীটা যেমন ছিল, আজ আর তেমন নেই। অনেক কিছু বদল হয়েছে। আপাতত আইনটি তৈরি হোক, তারপর আলোচনা করা যাবে।’’ তালিবানের সাংস্কৃতিক শাখার প্রধান জানিয়েছিলেন, প্রশাসন ও সরকারে মহিলাদের উপস্থিতি চায় তালিবান। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শরিয়তি আইন মেনে প্রশাসনে ও সরকারি কাজে মহিলাদের অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দেবে তালিবান।’’ তবে আফগানিস্তানের মহিলারা কার্যত কতটা স্বাধীনতা পাচ্ছে এবার সেটাই দেখবে বিশ্ববাসী।
১৯৯৬-২০০১ সালে আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা ছিল তালিবানের হাতে। সে সময় নারী নির্যাতনের এক ভয়াবহ রূপ দেখেছিল গোটা বিশ্ব। মেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হত না। বাইরে কাজ করারও অনুমতি ছিল না। এমনকী বাড়ির বাইরে পা রাখলেই বোরখা পরা ছিল বাধ্যতামূলক। নিদান অমান্য করলেই নেমে আসত শাস্তির খাঁড়া!