ডায়াবিটিস রোগীদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৫০ শতাংশ বেশি। তাদের মধ্যে কোভিড-১৯ ধরা পড়লে রোগলক্ষ্মণ ও জটিলতা বেশিমাত্রায় হতে পারে। জানুয়ারি থেকে মার্চ ২০২০’তে কলকাতায় ১২ শতাংশ পর্যন্ত মানুষের ডায়াবিটিস রয়েছে ও এইচবিএ১সি’র অ্যাভারেজ লেভেল ৮.০৭ শতাংশের মতো উঁচুতে – এরকমই জানা গিয়েছে ইন্ডিয়া ডায়াবিটিস কেয়ার ইন্ডেক্স-এর রিপোর্ট অনুসারে। এই তথ্য থেকে পরিষ্কার যে যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের গ্লুকোজ লেভেলের দিকে আরও নজর রাখা প্রয়োজন এবং সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত সঠিক ঔষধ গ্রহণ করতে হবে।
পার্ক ক্লিনিকের কনসাল্টেন্ট এন্ডোক্রিনোলজিস্ট অ্যান্ড অনারারি সেক্রেটারি এবং কলকাতার বিবেকানন্দ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস-এর অনারারি প্রফেসর ড. সুদীপ চ্যাটার্জি বলেন, ডায়াবিটিস রোগীদের মধ্যে কোভিড-১৯ ধরা পড়লে তার রোগলক্ষ্মণ ও জটিলতা বেশিমাত্রায় হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এর সম্ভাব্য অন্যতম কারণ রক্তের অতিরিক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া। প্রেসক্রিপশন অনুসারে ইনসুলিন-সহ নিয়মিত ঔষধ গ্রহণ করলে এর কুপ্রভাব হ্রাস করানো যেতে পারে। এছাড়া, যাদের পর্যাপ্ত মেটাবলিক কন্ট্রোল-সহ ডায়াবিটিস রয়েছে তাদের কোভিড-১৯’এর ঝুঁকি অনেকটা কম। টাইপ-১ ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিন একমাত্র চিকিৎসা এবং টাইপ-২ ডায়াবিটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তা এক সুপিরিয়র অল্টারনেটিভ, কারণ এটি ‘গুড মেটাবলিক কন্ট্রোল’ বজায় রাখে। নরডিস্ক ইন্ডিয়া রাইজোডেগ-এর দাম ৩০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ায় তার প্রশংসা করেন ড. সুদীপ চ্যাটার্জি। এটি একটি নিউ জেনারেশন ইনসুলিন অ্যানালগ যা সম্পূর্ণ গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ‘মিলটাইম’ ও ‘বিটুউন মিলস’ ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করে।
ডায়াবিটিস রোগীদের উচিত স্বাস্থ্যসম্মত আহারের দিকে ও নিয়মিত ব্যবধানে গ্লুকোজ লেভেলের দিকে নজর রাখা। ডায়াবিটিস ও হার্টের সমস্যা-যুক্ত বয়স্কদের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ঝুঁকি বেশি। এরকম রোগীদের যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত ও অপ্রয়োজনীয় ঘোরাঘুরি কমানো দরকার। ডায়াবিটিস থাকলে নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য গ্লুকোজ লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখা খুবই প্রয়োজন