কোভ্যাক্সিনকে এখনও অনুমোদন দেয়নি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফলে ভারত বায়োটেকের তৈরি এই টিকা গ্রহণের পর সেই সার্টিফিকেট গ্রাহ্য হচ্ছে না বিদেশে। এর দরুন যে সমস্ত পড়ুয়ারা বিদেশে পড়াশোনা করতে যাচ্ছেন, বিপাকে পড়ছেন তাঁরা। এবার এই সমস্যার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘বর্তমানে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন এই দু’টি টিকায় দেওয়া হচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু কোভ্যাক্সিন এখনও WHO-র অনুমতি পায়নি। ফলে এই টিকা নেওয়ার পরে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, তা বিদেশে গাহ্য হচ্ছে না। এদিকে প্রত্যেক বছর দেশ থেকে বহু ছাত্রছাত্রী পড়াশোনার জন্য বিদেশে যায়।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আমি আপনার কাছে অনুরোধ করছি যাতে কোভ্যাক্সিন অবিলম্বে WHO-র অনুমতি পায় সেজন্য পদক্ষেপ নিন। ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়ে সেই দিকে বিশেষ নজল দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মমতা।’
এদিকে, ভারত বায়োটেকের তৈরি কোভ্যাক্সিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী। এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টে জানা গিয়েছে এমনটাই।কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ২৫ হাজার ৮০০ জনের উপর প্রয়োগ করা হয়েছিল এই টিকা। গত সপ্তাহের শেষে এই ট্রায়ালের তথ্য DCGI এর কাছে জমা দেওয়া হয়।
কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রিপোর্টটি DCGI -এর অনুমোদন পেলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘এমারজেন্সি ইউজ লিস্টিং'( EUL)-এর ক্ষেত্রেও টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থার সুবিধা হবে। গত মাসে ভারত বায়োটেক জানিয়েছিল সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে কোভ্যাকসিন WHO-র অনুমোদন পেয়ে যাবে বলে তারা আশাবাদী।