চিনা রকেটের ১৮ টন ওজনের বর্জ্য ভেঙ্গে পরে ভারত মহাসাগরে

চিনা দ্রব্যের এমনিতেই বিশ্বজুড়ে বদনাম। যদিও চিনা দ্রব্যের দাম কম বলে একটা সুনামও রয়েছে। তবে চিনা দ্রব্য একেবারেই টেকসই নয়। আর সেটা আরও একবার প্রমাণ হল। মহাকাশেও টিকল না চিনের বানানো রকেট। আছড়ে পড়ল পৃথিবীর উপর। চিনা রকেট Long March 5B আছড়ে পড়ল ভারত মহাসাগরে। আপাতত ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর নেই। গত সপ্তাহেই লঞ্চ হয়েছিল এই চিন রকেট। তার পরই সেটির ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া যায়। জানা গিয়েছিল, যে কোনও সময় পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে সেই রকেটের একটি বড় অংশ। তবে বিজ্ঞানীদের ভয় ছিল, রকেটের সেই বিশাল অংশ যদি লোকালয়ে আছড়ে পড়ে তা হলে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে। তবে শেষমেশ সেটি মহাসমুদ্রে আছড়ে পড়েছে। এবারের মতো পৃথিবীবাসীর কান ঘেঁষে বেরোল বিপদ।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই রকেটের সেই বড় অংশটি আরও কিছুটা ভেঙে যায়। আর বিরাট অংশের কিছুটা নষ্ট করা হয়েছিল। যাতে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো যায়। বিজ্ঞানীরা অবশ্য অনুমান করেছিলেন, মহাসমুদ্রেই পড়বে রকেটের বিরাট অংশ। শেষমেশ হলও তাই। চিনের বিদেশমন্ত্রক আগেই জানিয়েছিল, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার পরই ওই রকেটের বিশাল অংশটিকে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে। যাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি না হয়। তবুও বিজ্ঞানীদের মধ্যে সংশয় ছিল। সেন্টর ফর আর্বিটল রিয়েন্ট্রি অ্যান্ড ডেব্রিস জানিয়েছিল, রকেটের ভাঙাচোরা অংশ রবিবার বিকেল চারটে নাগাদ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করবে। কিন্তু সেটি নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে।

চিনের এই রকেটে চারটি বুস্টার ছিল। ৫ মে এই রকেট লঞ্চ করেছিল চিন। গত বছর মে মাসে ফাইভ বি প্রথম ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছিল চিন। এটি ছিল দ্বিতীয় ভ্যারিয়েন্ট। তবে এই রকেট লঞ্চ করার পর থেকেই চিনের বিজ্ঞানীরা আতঙ্কে ছিলেন। তাঁরা আশঙ্কা করেছিলেন, এই রকেট ভেঙে পড়তে পারে। আর তাই চিনের শিয়ান শহরের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছিল চিনা প্রশাসন। কারণ, চিনের প্রশাসন মনে করেছিল, ওই এলাকায় রকেটের কিছুটা অংশ ভেঙে পড়তে পারে। শেষমেশ চিনা রকেটের ১৮ টন ওজনের বর্জ্য পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ফিরে আসে। এখনও পর্যন্ত এটাই পৃথিবীর দিকে ফিরে আসা মহাকাশের সব থেকে বড় আকারের আবর্জনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *