করোনা সংক্রমণ রোধে টিকাকরণই একমাত্র পন্থা। তাই সবচেয়ে বেশি জোর কেন্দ্র তরফে। এবার আজ সোমবার থেকে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেওয়া শুরু করবে কেন্দ্র। ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবসের দিন শুরু হতে চলেছে এই উদ্যোগ। অর্থাৎ, থেকেই সরকারি কেন্দ্রে ১৮ ঊর্ধ্বদের সবার বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করছে কেন্দ্রীয় সরকার। অনলাইন এবং অফলাইনে আবেদন করেই পাওয়ার কথা ভ্যাকসিন। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের ফলে টিকাকরণ প্রক্রিয়া গতি পাবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যে একদিনে ৫ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো রয়েছে। এখন দৈনিক টিকাকরণের মাত্রা ২ লক্ষের বেশি। টিকার সরবরাহ বাড়লে সেটি ৩ লক্ষে পৌঁছে যেতে পারে বলে মনে করছে রাজ্য প্রশাসন। তবে আপাতত রাজ্যে টিকাকরণ কেন্দ্র ও এই সব কেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যায় কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে টিকা পেয়েছেন ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩১ হাজার ৯৩৩ জন। সম্প্রতি ১৮ ঊর্ধ্বদের সবাইকে ফ্রি-তে করোনা টিকা দেবে কেন্দ্র ৷ জাতির উদ্দেশে ভাষণে এমন কথাই ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
বর্তমান ব্যবস্থায় টিকা প্রস্তুতকারকের থেকে ৭৫ শতাংশ টিকা ভারত সরকার নিজেই কিনে নিয়ে রাজ্য সরকারগুলিকে দেবে। কোনও রাজ্য সরকারকে টিকার জন্য কোনও খরচ করতে হবে না। গরিব, নিম্ন মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত সবাই ফ্রিতে টিকা নিতে পারবেন। তবে যাঁরা বেসরকারি হাসপাতালে টিকা নিতে চাইবেন, তাঁরাও তা নিতে পারবেন। মোট টিকার ২৫ শতাংশ কিনতে পারবে বেসরকারি হাসপতালগুলি। সে ক্ষেত্রে টিকার দামের উপর বেসরকারি হাসপাতালগুলি ১৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ নেবে, তার বেশি নয়। প্রাইভেট হাসপাতালগুলির জন্য ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজের সর্বোচ্চ মূল্য ঘোষণা করে কেন্দ্র জানায় কোভিশিল্ডের সর্বোচ্চ দাম হবে ৭৮০ টাকা প্রতি ডোজ। কোভ্যাক্সিনের ক্ষেত্রএ সেই দাম ধার্য করা হয়েছে ১৪১০ টাকা এবং স্পুটনিক ভি কেনা যাবে ১১৪৫ টাকা প্রতি ডোজের বিনিময়ে।