কলারটিউনে করোনা প্রতিষেধকের বার্তা দেওয়া হচ্ছে, অথচ দেশে প্রতিষেধকই নেই!

দিল্লি হাইকোর্টে ফের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রীয় সরকার। ফোনের কলারটিউনে করোনা প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য বার্তা দেওয়া হচ্ছে, অথচ দেশে প্রতিষেধকই নেই! এই অবস্থা তৈরি হতে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে তিরস্কার করেছে হাই কোর্ট। বিচারপতি বিপিন সাঙ্ঘি এবং বিচারপতি রেখা পাল্লির বেঞ্চ বলেছে, ‘‘যখনই ফোন করা হচ্ছে, আপনারা বিরক্তিকর মেসেজ শুনিয়ে যাচ্ছেন কে জানে কত ক্ষণ ধরে! অথচ প্রতিষেধক নেই! টিকা দিচ্ছেন না, কিন্তু লোককে বলছেন টিকা নিতে! টিকা না থাকলে নেবেটা কে?’’ অক্সিজেন সঙ্কট, হাসপাতালের শয্যা সঙ্কট, ওষুধের সঙ্কট এবং প্রতিষেধকের সঙ্কট— কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব দিক থেকেই নাজেহাল সরকার। নাগরিক সমাজ, সংবাদমাধ্যম, বিরোধী শিবির থেকে আদালত— সর্বত্র রোজ মুখ পুড়ছে। দিল্লি হাই কোর্টের বক্তব্য, সকলকে টিকা দিক কেন্দ্র। প্রয়োজনে পয়সা নিক, কিন্তু সকলকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। আর ফোনের একঘেয়ে মেসেজ বদলাক।

১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য প্রয়োজনীয় টিকা রাজ্যগুলিকেই সংগ্রহ করে নিতে বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু টিকা অমিল। মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটক তাই আজ থেকে ওই টিকাকরণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই দুই রাজ্য এবং অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, দিল্লি এবং হরিয়ানা প্রতিষেধক কেনার জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্রও আহ্বান করতে চলেছে। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের মতে, ‘‘এই ভাবে টিকার জন্য রাজ্যগুলিকে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে ভারতের ভাবমূর্তিই খারাপ হচ্ছে। কেন্দ্রের উচিত, টিকা সংগ্রহ করে রাজ্যগুলির মধ্যে বণ্টন করা।’’

প্রতিষেধকের জন্য হাপিত্যেশ করে থাকা রাজ্যগুলি যখন নিয়মিত ভাবে কেন্দ্রের কাছে দরবার জানাচ্ছে, তখন আগামী ছয় মাসে দেশের প্রতিষেধক-চিত্র উজ্জ্বল হয়ে উঠবে বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য কর্তারা। নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ভি কে পল আজ দাবি করেছেন, প্রতিষেধকের জোগান নিয়ে সাময়িক সমস্যা হলেও অগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের বাজারে প্রায় ২১৬ কোটি প্রতিষেধকের জোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *