করোনার জেরে অ্যানাটমি গবেষণায়

করোনার জেরে বিগত ৪ থেকে ৫ মাস দেহদান কর্মসূচি একপ্রকার বন্ধ। আর এর জেরে ব্যপক ক্ষতি হচ্ছে অ্যানাটমি গবেষণায়। মৃত ব্যক্তিদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হচ্ছে নির্দিষ্ট গাইডলাইন মোতাবেক। ফলে দেহ দানের অঙ্গীকার করা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি মোতাবেক তা সম্ভব হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। এমনকি, সাবধানতা অবলম্বনের খাতিরে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়নি, এমন ব্যক্তিদের দেহও অধিকাংশ মেডিক্যাল কলেজ গ্রহণ করছে না। দেহদানের পাশাপাশি করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দান করা চোখ-সহ অন্যান্য অঙ্গগুলো এখন নেওয়া হচ্ছে না। এর প্রভাব পড়তে পারে আই ব্যাঙ্কেও। বিশেষজ্ঞদের কথায়, কিছুদিন পর হয়তো আকাল দেখা যেতে পারে আই ব্যাংকেও।

গণদর্পন’এর আধিকারিক ব্রজ রায় বিষয়টি নিয়ে জানান, গত মার্চ মাস থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলি দেহ নেওয়া একপ্রকার বন্ধ করে রেখেছে। তিনি বলেন, ভারতের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে এই সংগঠন থেকে দেহ যায়। আগে যেখানে মাসে ১৫ থেকে ২০ টি দেহ এই কলেজগুলিতে যেত এখন সেখানে সংখ্যাটা শূন্যতে এসে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান তিনি। সবমিলিয়ে এটি একটি বড় ধাক্কা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *