লকডাউনের মধ্যে নিজেদের কাজের দুশ্চিন্তা ছেড়ে করোণা সংক্রমণ ঠেকাতে সজাগ হলেন সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা। জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্কুল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং পাড়ায় পাড়ায় স্যানিটাইজারের কাজ শুরু করলো সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তৃণমূল পরিচালিত সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই উদ্যোগকে অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দারা সাধুবাদ জানিয়েছে।
সোমবার সকাল থেকেই সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা জুড়ে শুরু হয়েছে করোণা মোকাবিলায় স্যানিটাইজারের কাজ। শুধু কেমিক্যাল ছিটিয়ে সেনিটাইজার করাই নয়, প্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহার করে ধোঁয়ার মাধ্যমেও এই জীবাণুকে নাশ করার উপযুক্ত পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, কালিয়াচক ১ নং ব্লকের সব থেকে ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েত হিসাবে উল্লেখ রয়েছে সুজাপুর । এই গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে একাধিক সরকারি, বেসরকারি স্কুল, ব্যাংক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শপিং মল, বাজারহাট, নানান ধরনের যানবাহনের স্ট্যান্ড প্রভৃতি। প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ নিত্যদিনের কাজকর্মের জন্য সুজাপুর শহরে যাতায়াত করে থাকেন। ঘিঞ্জি শহর হওয়ার ক্ষেত্রে করোনামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ।
সোমবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান আরিফ আলীসহ অন্যান্য সদস্যদের নেতৃত্বে শুরু হয় স্যানিটাইজারের কাজ।
সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের কমপক্ষে চল্লিশটি বুথে গণ পরিশোধনের মাধমে করোনা প্রতিরোধের কাজ শুরু হয়েছে। তবে করোনা রুখতে কালিয়াচক ১নং ব্লকেই এই প্রথম জেলায় গণপরিশোধন ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েতের বিভিন্ন নিকাশি নালা, সরকারী ভবন সহ রাস্তাঘাট সেনিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীদিনেও এই ধরণের কর্মসূচি চলতে থাকবে। তৃণমূল পরিচালিত সুজাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আরিফ আলি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ রুখতে বিভিন্ন এলাকায় গণপরিশোধনের কাজ শুরু করা হয়েছে। এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। বড় জলের ট্যাংকিতে স্যানিটাইজার ওষুধ মিশিয়ে এলাকার জাতীয় সড়ক থেকে শুরু করে নানান ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি অফিস গুলিতেও স্যানিটাইজার করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার অলিগলির বাড়িতে গুলিতেও এই সেনিটাইজার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকায় করোণা সংক্রমণ নির্মূল করতেই সব ধরনের সচেতনতা মূলক বার্তা আমরা মাইকিং করে প্রচার করছি। পাশাপাশি পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে এখন লাগাতার এই ধরনের স্যানিটাইজারের অভিযান চালানো হবে, এবং সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে মাক্স ও স্যানিটাইজার বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।