সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন ইউনিট পিছু ৫০ জন সদস্য নিয়ে শুটিং করা যাবে। ফ্লোরে থাকা প্রত্যেকের টিকাকরণ বাধ্যতামূলক। রাজ্যের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী তা চার হাজারেরও কম। তবে সুরক্ষা নিয়ে কোনও আপস করতে চায় না রাজ্য সরকার। সেই কারণেই ১ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে বিধিনিষেধ বজায় রাখার কথা এদিন জানানো হয়েছে।
একটি শিফটে সর্বাধিক ৫০ জন ইউনিট মেম্বার নিয়ে শুটিং করা যাবে। তবে এর মধ্যে কতজন অভিনেতা-অভিনেত্রী, আর কতজন টেকনিশিয়ান থাকতে পারবেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।শুটিং ফ্লোরের প্রত্যেকে যেন ভ্যাকসিনেটেড থাকেন। এরপরও সকলকে মাস্ক পরে থাকতে হবে। ফ্লোরে সুরক্ষাবিধি যেন মানা হয়। স্যানিটাইজেশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা যেন থাকে বলেই জানানো হয়েছে।
কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়ি থেকে শুটিং অর্থাৎ শ্যুট ফ্রম হোমের বিকল্প রাস্তা বেছে নেওয়া হয়েছিল অনেক ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে। তা নিয়ে আবার সিনে ফেডারেশন ও টেলিভশন প্রযোজকদের মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়। শুট ফ্রম হোমের নিয়ম মানা হচ্ছে না। পাশাপাশি করোনা বিধি ভেঙে হোটেল, পার্কে শুটিং করা হচ্ছে। এমনই অভিযোগ ফেডারেশনের। যদিও আগেই এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অফ টেলিভিশন প্রোডিউসার্সের পক্ষ থেকে। সোমবার অবশ্য আবারও প্রমাণ পেশ করে এই অভিযোগ জানায় ফেডারেশন। টেলিভিশনের প্রযোজকদের এর জবাব দিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতেও বলা হয়।