আইপিএল বাতিলঃ কেন ব্যর্থ হল বায়ও বাবাল?

গতবার আরবে যতটা দক্ষতার সঙ্গে আইপিএল আয়োজন করেছিল বিসিসিআই, এবার দেশের মাটিতে আইপিএল আয়োজনে ঠিক ততটাই ব্যর্থ ভারতীয় বোর্ড। টুর্নামেন্টের শুরুতে দেবদত্ত পারিকাল, অক্ষর প্যাটেল, নীতিশ রানার মতো ক্রিকেটাররা করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। টুর্নামেন্ট চলাকালীন বিভিন্ন দলের ক্রিকেটারদের পরীক্ষা চালানো হলেও রোখা যায়নি করোনার থাবা। কেকেআর, চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস এবং সানরাইজার্স। মোট চারটি বায়ো বাবেল ভেদ করে ঢুকে এসেছে ভাইরাস।

কিন্তু কেন এই ব্যর্থতা? আসলে প্রথম থেকেই এবার ভুল পথে এগিয়েছে ভারতীয় বোর্ড। প্রথমত মাত্র পাঁচ মাসের ব্যবধানে এবার শুরু হয়েছিল চতুর্দশ আইপিএল। দ্বিতীয়ত ক্রিকেটার এবং বিভিন্ন সাপোর্ট স্টাফদের চলাফেরা নজরে রাখতে ত্রুটিযুক্ত জিপিএস সিস্টেম এবং তৃতীয়ত এই দ্বিতীয় ঢেউ এত মারাত্মক হতে পারে সেটা বোঝার মত অদূরদর্শিতা। ভারতীয় বোর্ডের মেডিকেল ইউনিট কতটা তৈরি ছিল সেটা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। এছাড়াও যে শহরে ম্যাচ হচ্ছে, সবক্ষেত্রে কাছাকাছি হোটেল না নিয়ে দূরের হোটেল নেওয়া এবং হোটেল স্টাফদের কোয়ারেন্টাইন না করা। খুঁটিয়ে দেখতে গেলে একাধিক ভুলভ্রান্তি করেছে বিসিসিআই।

তবে ক্রিকেট ক্যালেন্ডার একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ। আইপিএল শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছিল ভারত বনাম ইংল্যান্ড সিরিজ। আবার আইপিএল শেষ করেই জুনে ইংল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার কথা বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থদের। তাই ভারতীয় বোর্ডের কাছে সময় ছিল যথেষ্ট কম। কিন্তু প্রথম থেকেই যদি সাবধানতা অবলম্বন করে আরবে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হত, তাহলে হয়তো এই দিন দেখতে হত না।

তবে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি ভারতীয় বোর্ড এবং গভর্নিং কাউন্সিল কে জানিয়েছিল বিদেশি ক্রিকেটারদের ভারতে থাকার ব্যাপারে কতটা ভয় কাজ করছে। খেলায় মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। বিসিসিআই মনে করলে আগামী কয়েক মাস পর আবার টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রথম থেকেই টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অর্থাৎ যে অবস্থায় খেলা বন্ধ হয়েছে, এই জায়গা থেকে শুরু করলে মানুষের দেখার ইচ্ছে থাকবে না। তবে সেসব পরের ব্যাপার। আগে টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখাই ছিল বোর্ডের অগ্রাধিকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *