অন্য গাছের ছাল লাগিয়েছিলাম, খসে পড়ে গিয়েছে, বেসুরোদের সম্পর্কে দিলীপ

বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির অনেক নেতাই দলের রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সম্প্রতি ফেসবুক পোস্টে দলের রাজ্য নেতৃত্বকে ফেসবুক পোস্টে নিশানা করেছিলেন সৌমিত্র খাঁ। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তর গলাতেও সমালোচনার সুর শোনা গিয়েছে। এই অবস্থায় দলের বেসুরোদের নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, নতুনরা দলকে এখনও বুঝে উঠতে পারেননি, তাদের সমস্যা হচ্ছে। পুরনোদের কোনও সমস্যা নেই। অন্য গাছের ছাল লাগিয়েছিলাম, খসে পড়ে গিয়েছে।

তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আরও বলেছেন, এমন হবে, আগেই জানতাম। বিলম্বে বোধোদয়। মনে হয় ক’দিন বাদে বিজেপিতে দিলীপ ঘোষেরও দমবন্ধ লাগবে।

বুধবার সৌমিত্র খাঁর ফেবসুক আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গেই ফেসবুক পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে একহাত নিয়েছিলেন, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই প্রেক্ষাপটে ফেসবুকেই বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাদের শোকজ করা হয় না কেন?

গত বিধানসভা ভোটের আগে, চার্টার্ড ফ্লাইটে করে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটে হাওড়ার ডোমজুড় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।

বিজেপিকে পরাজিত করে ২১৩টি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল।তাৎপর্যপূর্ণভাবে এরপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিভিন্ন মন্তব্য ও ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়।বুধবার সৌমিত্র খাঁয়ের ফেসবুক লাইভের পরপরই রাজীবের এই ফেসবুক পোস্টে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্য বিজেপির অন্দরে।

এই প্রেক্ষাপটেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও সব্যসাচী দত্তকে নিশানা করে সেই ফেসবুকেই আক্রমণ শানান রাজ্য বিজেপির যুব মোর্চার পদাধিকারী।যদিও, বিষয়টিকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে নারাজ সব্যসাচী দত্ত।এ বিষয়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।  তৃণমূল থেকে বিজেপিতে আসা সৌমিত্র খাঁ, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের ফেসবুকে একের পর এক কড়া বার্তার মধ্যেই গতকাল দলীয় শৃঙ্খলার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা অন্যদল থেকে এসেছেন, তাঁরা সিস্টেমটা এখনও বুঝে উঠতে পারেননি। কোথায় কী বলতে হয়, সেই ধৈর্য নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *