এই মুহূর্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় জর্জরিত রাজ্যে৷ নাম জড়িয়েছে একাধিক নেতা মন্ত্রীর, গ্রেফতারও হয়েছে বেশ কিছু৷ এই পরিস্থিতিতেই অভিযোগ উঠেছিল টেট পাস নিয়েও৷ অভিযোগ উঠেছিল টেট পাস করেও চাকরি পেয়েছেন কয়েকজন৷ টেট পাস না করেও দশ জনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগে দায়ের হয় মামলা৷
সেই মামলা সংক্রান্ত যে নথি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্যানেল জমা দিয়েছে তা কার্যকরী নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সিবিআইকে এই ইস্যুতে বড় নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই দশ জনের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করতে হবে তাদের এবং রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেই জানিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ১৭ আগস্ট নির্দেশ মত বোর্ড প্যানেল সংক্রান্ত নথি জমা দিয়েছে। কিন্তু যে দশ জনের বিরুদ্ধে প্যানেলে নাম না থাকা সত্বেও চাকরি পাওয়ার অভিযোগ তা বোর্ডের জমা দেওয়া নথি থেকে স্পষ্ট নয়।
আদালতে মোট নম্বর সহ তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে কিন্তু আদালত ব্রেক আপ সহ কে কত নম্বর পেয়েছে ত জানতে চায়। সেই প্রেক্ষিতেই আদালতের নির্দেশ, এবার মামলারকারির আইনজীবী ও বোর্ডের আইনজীবীরা এক সঙ্গে পর্ষদের অফিসে বসবেন। ওই দশ অভিযুক্তর ব্রেক আপ সহ নম্বর খতিয়ে দেখা হবে। প্যানেল যাচাই করবে সত্যিই পাশ না করে তারা চাকরি পেয়েছে কিনা।
বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বোর্ডের অফিসে উভয় পক্ষকে বসে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। ২১ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। এছাড়া সিবিআইকে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তার ভিত্তিতে জানান হয়েছে, ২০ তারিখের মধ্যে সব তথ্য তাদের রিপোর্ট দিতে হবে।